কলেজের ইতিহাস
দক্ষিণ বাংলায় নারীদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চয়নের মহান ব্রত নিয়ে স্বমহিমায় অগ্রণী বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ। কীর্তনখোলা -সুগন্ধা ধানসিঁড়িসহ অজস্র নদীবিধৌত উর্বর অত্যুজ্জ¦ল বরিশাল বিভাগের কেন্দ্রস্থলে কর্মব্যস্থত সদর রোড সংলগ্ন আগরপুর রোডে মনীষী বিজয় গুপ্তের বাড়িতে ছায়া সুনিবিড় শান্ত মনোরম পরিবেশে ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠটি অবস্থিত।
১৯৫৭ সালের ০১ জুলাই ‘দি উইমেন্স কলেজ বরিশাল’ নামে মহাবিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ‘জ্ঞান শৃঙ্খলা -পবিত্রতা’র আর্দশ বাস্তবায়নের অভিপ্রায়ে স্থানীয় বিদ্বৎসমাজ ও তৎকালীন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দের সার্বিক সহায়তায় ১৯৫৭-৫৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শুরু করা হয় এর শিক্ষাকার্যক্রম্। অতঃপর ১৯৭৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয়করণ হলে এর ‘বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ’।
উদ্ভিদবিজ্ঞান
সূচনালগ্ন থেকেই সুযোগ্য অধ্যক্ষ ও শিক্ষকল্ডলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভৌত অবকাঠামো ও শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষ সাধনের ধারাবাহিকতা কলেজটি আজ সার্বিকভাবে সমৃদ্ব। উচ্চ মাধ্যমিক-বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি, স্নাতক পাস কোর্স- বিএ, বিএসএস, বিবিএস, বিএসসি, স্নাতক সস্মান-বাংলা, ইংরেজী, অর্থনীতি, সমাজকর্ম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, হিসববিজ্ঞান, মার্কেটিং, স্নাতকোওর বাংলা, সমাজকর্ম পর্যায়ে এর শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ কলেজের বিভিন্ন শাখা ও বিভাগে অধ্যয়নরত বর্তমান ছাত্রী সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার।
মেধাবী ছাত্রীদের জন্য এটি একটি নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মেধাবী ছাত্রীদের জন্য এটি একটি নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আসাদুজ্জামান এর সুদক্ষ ও আন্তরিক পরিচালনাগুণে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি উৎকর্ষমন্ডিত। বেশ কয়েকটি নতুন বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে রওশন জাহান ছাত্রীনিবাস এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য গোড়াচাঁদ দাস রোডে কবি সুফিয়া কামাল ছাত্রীনিবাস সুষ্ঠুভাবে পরিচালানা হচ্ছে। কলেজের ছাত্রীদের সংস্কৃতিচর্চার সুবিধার্থে “বকুলতলা আলোকায়ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন আজ চোখে পড়ার মতো। একটি আধুনিক মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এ কলেজের ছাত্রীরা আশেপাশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এগিয়ে আছে।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে এ কলেজের ছাত্রীরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। কলেজের অনুষ্ঠানসমুহকে সাফল্যমন্ডিত করার ব্যাপারে তারা বিশেষ ভূমিকা রাখছে। শিল্পকলা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। সব চেয়ে বড় কথা এ প্রতিষ্ঠানে পূর্ববর্তী বহু ছাত্রী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে মানব কল্যাণে নিবেদিত রয়েছে। এখানকার রাজনীতি সচেতন ছাত্রীরা নিজেদেরকে লালন করছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়।
এ মহতী প্রতিষ্ঠানটি থেকে উচ্চ শিক্ষাপ্রাপ্ত নারীদের ভুমিকা ক্রমান্বয়ে তার পরিবারে,
এ মহতী প্রতিষ্ঠানটি থেকে উচ্চ শিক্ষাপ্রাপ্ত নারীদের ভুমিকা ক্রমান্বয়ে তার পরিবারে, সমাজে, দেশে ও বিশ্ব পরিমন্ডলে ব্যাপৃত হচ্ছে। নারী উচ্চ শিক্ষা অব্যহত রাখার জন্য এ বিদ্যাপীঠটিকে সমুন্নত রাখা সকলের কর্তব্য।